







কে আপন কে পরের জবাকে মনে আছে তো? দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলা ধারাবাহিক একসময় মিম মেটিরিয়াল হয়ে গিয়েছিল। জবার উকিল হওয়া,




জাজ হওয়া, ঠাকুমা হয়ে যাওয়া, একেবারে সুপার হিউম্যান হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে। আর সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পল্লবী শর্মা।




তবে পল্লবী এখন কাজ করছেন নিম ফুলের মধুতে। জবার ইমেজ কাটিয়ে এখন পর্ণা দত্ত হয়ে উঠছেন পল্লবী। এখানে সে সুপার হিউম্যান না হলেও বুদ্ধিমান, আধুনিকা নারী।




পল্লবী যে ধারাবাহিকেই কাজ করে, সেটা ‘আমিকেন্দ্রিক’ করে তোলেন। তার অসাধারণ অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কাটে। কিন্তু জানেন কি,
View this post on Instagram
বাস্তব জীবনে পল্লবী কেমন? কেমন ছিল তাঁর ছোটোবেলা? কি ছিল তাঁর স্ট্রাগল? আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানব অভিনেত্রী পল্লবী শর্মার সম্পর্কে।




পদবী শর্মা হলেও আদ্যোপান্ত বাঙালি তিনি। জন্ম পশ্চিমবঙ্গে। বাবা মা দাদা নিয়ে ছিল ভরা সংসার। তবে সে সুখ কেবল ক্লাস থ্রি অব্দি। বয়স যখন মাত্র ৯ তখনই তাঁর মায়ের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। পল্লবীকে পাশের বাড়ি প্রতিবেশীর দায়িত্বে রেখে মায়ের চিকিৎসার জন্য সাত বছরের বড় দাদাকে নিয়ে চেন্নাই চলে যান বাবা। সেটাই মায়ের সাথে তাঁর শেষ দেখা। এরপর টানা দুবছর বাবা-দাদার সঙ্গে দ্যাখা হয়নি তাঁর। ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন পল্লবীর মা মারা যায়।
প্রতিবেশী পিসিমণির বাড়িতেই বড় হয়েছে পল্লবী। বাবা চাকরি সুত্রে বাইরে থাকতেন। বছরে এক আধবার কলকাতা এলে দেখা হত মেয়ের সাথে। ক্লাস টেন, মাধ্যমিক। জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার দিন সকালে পল্লবীর বাবা মারা যায়। পরীক্ষা দিয়ে এসে বাবার শেষকৃত্য করতে যায় সে। বাবা-মা হারা মেয়েটিকে সেদিন সকলে বিয়ে দিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু পল্লবী নিজে সিদ্ধান্ত নেয়। সেসময় মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করেছিল পল্লবী।
এরপর ‘নদের নিমাই’ ধারাবাহিকের সঙ্গে অভিনয় কেরিয়ার শুরু পল্লবীর। সালটা ২০১২। টানা দেড়বছর কাজ করার পর পল্লবীর মাথায় আসে পড়াশোনার কথা। সকলের কাছে দুবছরের সময় চেয়ে নেয় সে। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। কলেজে পড়ার সময় ‘কে আপন কে পর’ ধারাবািহিকে কাজের সুযোগ আসে। অভিনেত্রীর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় স্টার জলসার এই মেগা। বাকিটা তো আমাদের সকলের জানা। এখন নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন পল্লবী। মা-বাবার অপূর্ণতা জীবনে বুঝতে দিতে চাইতেন না পিসিমণি। সেই পিসিও আর নেই। তবে পল্লবী জানায়, একা হলেও আজ স্বনির্ভর সে, আর এতে সে খুবই খুশি।